1. eliusmorol@gmail.com : দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ : দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ
  2. rahadbd300@gmail.com : rahad :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন

?সন্তানের প্রতি মমতাঃ হাদীস নং ৭৬-৯৯?

মো: ইলিয়াস হোসেন
  • সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৬৮৬ বার সংবাদ টি দেখা হয়েছে

?সন্তানের প্রতি মমতাঃ হাদীস নং ৭৬ – ৯৯?

৪১. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি দুইটি বা একটি কন্যা সন্তান পোষে। হাদীস নং : ৭৬ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ قَالَ: حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ عِمْرَانَ أَبُو حَفْصٍ التُّجِيبِيُّ، عَنْ أَبِي عُشَّانَةَ الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ كَانَ لَهُ ثَلَاثُ بَنَاتٍ، وَصَبَرَ عَلَيْهِنَّ، وَكَسَاهُنَّ مِنْ جِدَتِهِ، كُنَّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النَّارِ» উকবা ইবনে আমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ যার তিনটি কন্যাসন্তান আছে এবং সে তাদের ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদেরকে যথাসাধ্য উত্তম পোশাকাদি দেয়, তারা তার জন্য দোযখ থেকে রক্ষাকারী প্রতিবন্ধক হবে। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস হাদীস নং : ৭৭ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ قَالَ: حَدَّثَنَا فِطْرٌ، عَنْ شُرَحْبِيلَ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ تُدْرِكُهُ ابْنَتَانِ، فَيُحْسِنُ صُحْبَتَهُمَا، إِلَّا أَدْخَلَتَاهُ الْجَنَّةَ» — [قال الشيخ الألباني] : حسن لغيره ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেন, যে মুসলমানের দুইটি কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাদেরকে উত্তম সাহচর্য দান করে তারা তাকে বেহেশতে দাখিল করবে (ইবনে মাজাহ, হাকিম)। হাদিসের মানঃ হাসান লিগাইরিহি হাদীস নং : ৭৮ حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَهُمْ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ لَهُ ثَلَاثُ بَنَاتٍ، يُؤْوِيهِنَّ، وَيَكْفِيهِنَّ، وَيَرْحَمُهُنَّ، فَقَدْ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ الْبَتَّةَ» ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَعْضِ الْقَوْمِ: وَثِنْتَيْنِ، يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «وَثِنْتَيْنِ» জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যার তিনটি কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে তাদের ব্যয়ভার বহন করে এবং তাদের সাথে দয়ার্দ্র ব্যবহার করে, তার জন্য বেহেশত অবধারিত হয়ে যায়। লোকজনের মধ্য থেকে একজন বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কারো যদি দুটি কন্যা সন্তান থাকে? তিনি বলেনঃ দুইটি কন্যা সন্তান হলেও (আবু দাউদ, তাবারানী, বাযযার)। হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস ৪২. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি তিন বোনকে লালন-পালন করলো। হাদীস নং : ৭৯ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُكْمِلٍ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بَشِيرٍ الْمُعَاوِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَكُونُ لِأَحَدٍ ثَلَاثُ بَنَاتٍ، أَوْ ثَلَاثُ أَخَوَاتٍ، فَيُحْسِنُ إِلَيْهِنَّ، إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ» আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন ; যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান বা তিনটি বোন আছে এবং সে তাদের সাথে মমতাপূর্ণ ব্যবহার করে, সে বেহেশতে প্রবেশ করবে (দারিমী, তিরমিযী, আবু দাউদ, হিব্বান)। হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস ৪৩. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি নিজের তালাকপ্রাপ্তা (বা বিধ বাযযার) কন্যার প্রতিপালন করে তার ফযীলাত। হাদীস নং : ৮০ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِسُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ: «أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى أَعْظَمِ الصَّدَقَةِ، أَوْ مِنْ أَعْظَمِ الصَّدَقَةِ؟» قَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «ابْنَتُكَ مَرْدُودَةٌ إِلَيْكَ، لَيْسَ لَهَا كَاسِبٌ غَيْرُكَ» . মূসা ইবনে উলায়্যি (র) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) সুরাকা ইবনে জুশুম (রাঃ)-কে বলেনঃ আমি কি তোমাকে শ্রেষ্ঠতম বা অতীব শ্রেষ্ঠ দান-খয়রাত সম্পর্কে অবহিত করবো না? তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অবশ্যই। তিনি বলেনঃ তোমার নিকট ফিরে আসা তোমার (স্বামী পরিত্যক্ত) কন্যার ব্যয়ভার বহন করা, তুমি ছাড়া যার জন্য উপার্জনকারী আর কেউ নাই (ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ, নাসাঈ)। হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস হাদীস নং : ৮১ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ قَالَ: حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ، عَنْ خَالِدٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا أَطْعَمْتَ نَفْسَكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ، وَمَا أَطْعَمْتَ وَلَدَكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ، وَمَا أَطْعَمْتَ زَوْجَكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ، وَمَا أَطْعَمْتَ خَادِمَكَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ» মিকদাম ইবনে মাদীকারিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ তুমি নিজেকে যা খাওয়াও তা তোমার জন্য সদাকা। তোমার সন্তানকে তুমি যা খাওয়াও তাও তোমার জন্য সদাকা, তোমার স্ত্রীকে তুমি যা খাওয়াও তাও তোমার জন্য সদকা এবং তোমার খাদেমকে যা খাওয়াও তাও তোমার জন্য সদাকা (আবু দাউদ)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস ৪৪. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানদের মৃত্যু কামনা অপছন্দ করে। হাদীস নং : ৮২ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْحَارِثِ أَبِي الرَّوَّاعِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَجُلًا كَانَ عِنْدَهُ، وَلَهُ بَنَاتٌ فَتَمَنَّى مَوْتَهُنَّ، فَغَضِبَ ابْنُ عُمَرَ فَقَالَ: أَنْتَ تَرْزُقُهُنَّ؟ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এক ব্যক্তি তার সাথে থাকতো। তার কয়েকটি কন্যা সন্তান ছিল। সে তাদের মৃত্যু কামনা করলো। ইবনে উমার (রাঃ) ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন, তুমি কি তাদের রিজিক দাও? হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস ৪৫. অনুচ্ছেদঃ মানুষ সন্তানের কারণে কৃপণ ও কাপুরুষ হয়। হাদীস নং : ৮৩ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: كَتَبَ إِلَيَّ هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَوْمًا: وَاللَّهِ مَا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ رَجُلٌ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ عُمَرَ، فَلَمَّا خَرَجَ رَجَعَ فَقَالَ: كَيْفَ حَلَفْتُ أَيْ بُنَيَّةُ؟ فَقُلْتُ لَهُ، فَقَالَ: أَعَزُّ عَلَيَّ، وَالْوَلَدُ أَلْوَطُ আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একদিন আবু বাকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ পৃথিবীর বুকে উমারের চেয়ে অধিক প্রিয় আমার কাছে আর কেউ নাই। তিনি চলে যাবার পর পুনরায় ফিরে এসে বলেন, হে বৎস! আমি কিভাবে শপথ করেছি? আমি তাকে তা বললাম। তিনি বলেন, (উমার) আমার নিকট অধিক প্রিয়। আর সন্তান তো অন্তরের সাথে লেগে থাকে (তারীখ ইবনে আসাকির)। হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস হাদীস নং : ৮৪ حَدَّثَنَا مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ قَالَ: كُنْتُ شَاهِدًا ابْنَ عُمَرَ إِذْ سَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ دَمِ الْبَعُوضَةِ؟ فَقَالَ: مِمَّنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ، فَقَالَ: انْظُرُوا إِلَى هَذَا، يَسْأَلُنِي عَنْ دَمِ الْبَعُوضَةِ، وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «هُمَا رَيْحَانَيَّ مِنَ الدُّنْيَا» ইবনে আবু নুম (র) থেকে বর্ণিতঃ আমি ইবনে উমার (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি তাকে মশার রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তিনি বলেন, তুমি কোথাকার লোক? সে বললো, ইরাকের। তিনি বলেন, দেখো তাকে! সে আমাকে মশার রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। অথচ এরা নবী (সাঃ)-এর নাতিকে হত্যা করেছে। আমি নবী (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ এরা দুজন পৃথিবীতে আমার দু’টি ফুল (তিরমিযী, আবু দাউদ, হাকিম)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস ৪৬. অনুচ্ছেদঃ শিশুকে কাঁধে উঠানো। হাদীস নং : ৮৫ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ يَقُولُ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْحَسَنُ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ عَلَى عَاتِقِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ، إِنِّي أُحِبُّهُ فَأَحِبَّهُ» বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি নবী (সাঃ)-কে দেখেছি যে, হাসান তাঁর কাঁধের উপর আসীন অবস্থায় তিনি বলছেনঃ হে আল্লাহ! আমি একে ভালোবাসি। অতএব তুমিও একে ভালোবাস (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস ৪৭. অনুচ্ছেদঃ সন্তান হলো নয়ন প্রীতিকর। হাদীস নং : ৮৬ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: أَخْبَرَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: جَلَسْنَا إِلَى الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ يَوْمًا، فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَقَالَ: طُوبَى لِهَاتَيْنِ الْعَيْنَيْنِ اللَّتَيْنِ رَأَتَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهِ لَوَدِدْنَا أَنَّا رَأَيْنَا مَا رَأَيْتَ، وَشَهِدْنَا مَا شَهِدْتَ. فَاسْتُغْضِبَ، فَجَعَلْتُ أَعْجَبُ، مَا قَالَ إِلَّا خَيْرًا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ فَقَالَ: «مَا يَحْمِلُ الرَّجُلُ عَلَى أَنْ يَتَمَنَّى مُحْضَرًا غَيَّبَهُ اللَّهُ عَنْهُ؟ لَا يَدْرِي لَوْ شَهِدَهُ كَيْفَ يَكُونُ فِيهِ؟ وَاللَّهِ، لَقَدْ حَضَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْوَامٌ كَبَّهُمُ اللَّهُ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ فِي جَهَنَّمَ، لَمْ يُجِيبُوهُ وَلَمْ يُصَدِّقُوهُ، أَوَلَا تَحْمَدُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذْ أَخْرَجَكُمْ لَا تَعْرِفُونَ إِلَّا رَبَّكُمْ، فَتُصَدِّقُونَ بِمَا جَاءَ بِهِ نَبِيُّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ كُفِيتُمُ الْبَلَاءَ بِغَيْرِكُمْ، وَاللَّهِ لَقَدْ بُعِثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَشَدِّ حَالٍ بُعِثَ عَلَيْهَا نَبِيٌّ قَطُّ، فِي فَتْرَةٍ وَجَاهِلِيَّةٍ، مَا يَرَوْنَ أَنَّ دِينًا أَفْضَلُ مِنْ عِبَادَةِ الْأَوْثَانِ، فَجَاءَ بِفُرْقَانٍ فَرَّقَ بِهِ بَيْنَ الْحَقِّ وَالْبَاطِلِ، وَفَرَّقَ بِهِ بَيْنَ الْوَالِدِ وَوَلَدِهِ، حَتَّى إِنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيَرَى وَالِدَهُ أَوْ وَلَدَهُ أَوْ أَخَاهُ كَافِرًا، وَقَدْ فَتْحَ اللَّهُ قُفْلَ قَلْبِهِ بِالْإِيمَانِ، وَيَعْلَمُ أَنَّهُ إِنْ هَلَكَ دَخَلَ النَّارَ، فَلَا تَقَرُّ عَيْنُهُ، وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ حَبِيبَهُ فِي النَّارِ» ، وَأنَّهَا لِلَّتِي قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ} [الفرقان: 74] জুবায়ের ইবনে নুফায়ের (র) থেকে বর্ণিতঃ একদিন আমরা মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ (রাঃ)-র নিকট বসলাম। এক ব্যক্তি তাকে অতিক্রম করতে করতে বললো, ধন্য এই চক্ষুদ্বয়, যা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে দর্শন করেছে। আল্লাহর শপথ! আমরা কামনা করতাম আপনি যা দেখেছেন যদি আমরাও তা দেখতাম এবং আপনি যেখানে উপস্থিত ছিলেন, আমরাও যদি তথায় উপস্থিত থাকতাম। এতে মিকদাদ (রাঃ) অসন্তুষ্ট হলেন। তাতে আমি অবাক হলাম যে, সে তো ভালো কথাই বলেছে। অতঃপর তিনি তার মুখোমুখি হয়ে বলেন, লোকটিকে এমন স্থানে উপস্থিতির আকাঙ্ক্ষা করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো, যেখান থেকে আল্লাহ তাকে অনুপস্থিত রেখেছেন? কি জানি যদি সে সেখানে উপস্থিত থাকতো তবে সে কি করতো। আল্লাহর শপথ বহু লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে দেখেছে কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছেন। কারণ তারা তাঁর আহবানে সাড়া দেয়নি এবং তাঁকে বিশ্বাসও করেনি। তোমরা কি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে না যে, তিনি তোমাদের যখন সৃষ্টি করেছেন তখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালক ছাড়া আর কাউকে চেনো না। তোমাদের নবী (সাঃ) যা নিয়ে এসেছেন তাকে তোমরা সত্য বলে মেনে নিয়েছো। আল্লাহর শপথ! নবী (সাঃ) আবির্ভূত হন কঠিন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, এরূপ কঠিন পরিস্থিতিতে আর কোন নবী আসেননি। নবী আসার পূর্বেকার সেই জাহিলিয়াতের দিনগুলিতে তারা প্রতিমা পূজার চেয়ে উত্তম কোন ধর্ম আছে বলে মনে করতো না। এই পরিস্থিতিতে তিনি ফুরকানসহ আবির্ভূত হন। তিনি তাঁর দ্বারা সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করেন, পার্থক্য সূচিত করেন পিতা ও তার পুত্রের মধ্যে। শেষে অবস্থা এই দাঁড়ায় যে, কোন ব্যক্তি তার পিতা বা পুত্র বা ভাইকে কাফের অবস্থায় দেখতো, অপরদিকে ঈমান আনার জন্য তার অন্তরের তালা আল্লাহ খুলে দিতেন, তখন সে ভাবতো, এই অবস্থায় তার আপনজন মারা গেলে নিশ্চয় সে দোযখে যাবে। এতে কারো চোখ জুড়াতো না। এই প্রসঙ্গে মহামহিম আল্লাহ বলেন, “এবং যারা বলে, আমাদের প্রভু! আমাদের স্ত্রীদের ও আমাদের সন্তানদের দ্বারা আমাদেরকে চোখের শীতলতা দান করো” (২৫ : ৭৪) (আবু দাউদ)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস ৪৮. অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি তার সঙ্গীর ধন ও সন্তান বৃদ্ধির দোয়া করে। হাদীস নং : ৮৭ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا، وَمَا هُوَ إِلَّا أَنَا وَأُمِّي وَأُمُّ حَرَامٍ خَالَتِي، إِذْ دَخَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ لَنَا: «أَلَا أُصَلِّي بِكُمْ؟» وَذَاكَ فِي غَيْرِ وَقْتِ صَلَاةٍ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: فَأَيْنَ جَعَلَ أَنَسًا مِنْهُ؟ فَقَالَ: جَعَلَهُ عَنْ يَمِينِهِ؟ ثُمَّ صَلَّى بِنَا، ثُمَّ دَعَا لَنَا – أَهْلَ الْبَيْتِ – بِكُلِّ خَيْرٍ مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَقَالَتْ أُمِّي: يَا رَسُولَ اللَّهِ، خُوَيْدِمُكَ، ادْعُ اللَّهَ لَهُ، فَدَعَا لِي بِكُلِّ خَيْرٍ، كَانَ فِي آخِرِ دُعَائِهِ أَنْ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ» আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একদিন আমি নবী (সাঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি, আমার মা ও খালা উম্মু হারাম (রাঃ) ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তখন নবী (সাঃ) আমাদের নিকট এসে বলেনঃ আমি কি তোমাদের সাথে নামায পড়বো না? তখন কোন নামাযের ওয়াক্ত ছিলো না। লোকজনের মধ্যে একজন বললো, আনাসকে কোথায় দাঁড় করানো হয়েছিলো? রাবী বলেন, ডান দিকে। তিনি আমাদের নিয়ে নামায পড়লেন, অতঃপর আমাদের তথা ঘরের সকলের জন্য দোয়া করলেন দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কল্যাণের জন্য। আমার মা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার এই ক্ষুদে খাদেম, তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। অতএব তিনি আমার সার্বিক কল্যাণের জন্য দোয়া করলেন। তার দোয়ার শেষ ছিলঃ হে আল্লাহ! “তাকে অধিক ধন ও সন্তান দান করুন এবং তাকে বরকত দান করুন” (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস ৪৯. অনুচ্ছেদঃ মমতাময়ী মা। হাদীস নং : ৮৮ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ فَضَالَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَأَعْطَتْهَا عَائِشَةُ ثَلَاثَ تَمَرَاتٍ، فَأَعْطَتْ كُلَّ صَبِيٍّ لَهَا تَمْرَةً، وَأَمْسَكَتْ لِنَفْسِهَا تَمْرَةً، فَأَكَلَ الصِّبْيَانُ التَّمْرَتَيْنِ وَنَظَرَا إِلَى أُمِّهِمَا، فَعَمَدَتْ إِلَى التَّمْرَةِ فَشَقَّتْهَا، فَأَعْطَتْ كُلَّ صَبِيٍّ نِصْفَ تَمْرَةٍ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ فَقَالَ: «وَمَا يُعْجِبُكَ مِنْ ذَلِكَ؟ لَقَدْ رَحِمَهَا اللَّهُ بِرَحْمَتِهَا صَبِيَّيْهَا» আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এক মহিলা আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে এলে তিনি তাকে তিনটি খেজুর দেন। সে তার ছেলে দু’টিকে একটি করে খেজুর দেয় এবং নিজের জন্য একটি রেখে দেয়। তারা খেজুর দু’টি খেয়ে তাদের মায়ের দিকে তাকালো এবং অবশিষ্ট খেজুরটি পেতে চাইলো। সে খেজুরটি দুই টুকরা করে প্রত্যেককে অর্ধেক অর্ধেক দিলো। নবী (সাঃ) ঘরে আসলে আয়েশা (রাঃ) তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি বলেনঃ এতে তোমার বিস্মিত হওয়ার কি আছে। সে তার ছেলে দুইটির প্রতি দয়াপরবশ হওয়ার কারণে আল্লাহ তার প্রতি দয়াপরবশ হয়েছেন (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস ৫০. অনুচ্ছেদঃ শিশুদের চুমা দেয়া। হাদীস নং : ৮৯ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَتُقَبِّلُونَ صِبْيَانَكُمْ؟ فَمَا نُقَبِّلُهُمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوَ أَمْلِكُ لَكَ أَنْ نَزَعَ اللَّهُ مِنْ قَلْبِكَ الرَّحْمَةَ؟» আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এক বেদুইন নবী (সাঃ)-এর নিকট এসে বললো, আপনারা কি শিশুদের চুমা দেন? আমরা শিশুদের চুমা দেই না। নবী (সাঃ) বলেনঃ আল্লাহ যদি তোমার অন্তর থেকে দয়ামায়া তুলে নেন, তবে তোমার জন্য আমার কি করার আছে? (বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাজাহ) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস হাদীস নং : ৯০ حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: قَبَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ وَعِنْدَهُ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ جَالِسٌ، فَقَالَ الْأَقْرَعُ: إِنَّ لِي عَشَرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ مِنْهُمْ أَحَدًا، فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: «مَنْ لَا يَرْحَمُ لَا يُرْحَمُ» আবু হুরাইরা (র) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী (র)-এর পুত্র হাসানকে চুমা দিলেন। তখন আকরা ইবনে হাবিস আত-তামীমী তাঁর নিকট বসা ছিলেন। আকরা বলেন, আমার দশটি সন্তান আছে, কিন্তু আমি তাদের কাউকে চুমা দেইনি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার দিকে তাকালেন, অতঃপর বললেনঃ যে ব্যক্তি দয়া করে না সে দয়া পায় না (বুখারী, মুসলিম)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস ৫১. অনুচ্ছেদঃ সন্তানের সাথে পিতার সদাচরণ এবং তাকে ভদ্র আচরণ শিখানো। হাদীস নং : ৯১ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ نُمَيْرِ بْنِ أَوْسٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يَقُولُ: كَانُوا يَقُولُونَ: الصَّلَاحُ مِنَ اللَّهِ، وَالْأَدَبُ مِنَ الْآبَاءِ নুমাইর ইবনে আওস (র) থেকে বর্ণিতঃ প্রবীণ সাহাবীগণ বলতেন, সততা ও যোগ্যতা আল্লাহর দান এবং শিষ্টাচার পিতৃপুরুষের দান। হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস হাদীস নং : ৯২ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَّامٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى الْقُرَشِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ عَامِرٍ، أَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ حَدَّثَهُ، أَنَّ أَبَاهُ انْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أُشْهِدُكَ أَنِّي قَدْ نَحَلْتُ النُّعْمَانَ كَذَا وَكَذَا، فَقَالَ: «أَكُلَّ وَلَدَكَ نَحَلْتَ؟» قَالَ: لَا، قَالَ: «فَأَشْهِدْ غَيْرِي» ، ثُمَّ قَالَ: «أَلَيْسَ يَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا فِي الْبِرِّ سَوَاءً؟» قَالَ: بَلَى، قَالَ: «فَلَا إِذًا» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُخَارِيُّ: لَيْسَ الشَّهَادَةُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رُخْصَةً. নোমান ইবনে বশীর (র) থেকে বর্ণিতঃ তার পিতা তাকে বহন করে বাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট গেলেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনাকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি নোমানকে এই এই জিনিস দান করেছি। তিনি বলেনঃ তোমার সব সন্তানকে কি দান করেছো? তিনি বলেন, না। তিনি বলেনঃ তাহলে আমি ভিন্ন অন্যকে সাক্ষী রাখো। অতঃপর তিনি বলেনঃ তুমি কি কামনা করো না যে, তোমার সকল সন্তান তোমার সাথে সমানভাবে সদ্ব্যবহার করুক? তিনি বলেন, হাঁ। তিনি বলেনঃ তাহলে এরূপ করো না (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)। ইমাম বুখারী (র) বলেন, মহানবী (সাঃ)-এর বক্তব্যে বশীর (রাঃ)-কে অপর কোন ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখার অনুমতি ব্যক্ত করা হয়নি। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস ৫২. অনুচ্ছেদঃ নিজ সন্তানের সাথে পিতার সদাচার। হাদীস নং : ৯৩ حَدَّثَنَا ابْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، عَنِ الْوَصَّافِيِّ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: إِنَّمَا سَمَّاهُمُ اللَّهُ أَبْرَارًا، لِأَنَّهُمْ بَرُّوا الْآبَاءَ وَالْأَبْنَاءَ، كَمَا أَنَّ لِوَالِدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، كَذَلِكَ لِوَلَدِكَ عَلَيْكَ حَقٌّ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহ তাদের (সাহাবীদের) নাম রেখেছেন আবরার (সদাচারী)। কেননা তারা তাদের পিতা ও সন্তানদের সাথে সদাচার করেছেন। তোমার উপর তোমার পিতার যেমন অধিকার আছে তদ্রুপ তোমার সন্তানের উপর তোমার অধিকার রয়েছে (তাবারানী)। হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস ৫৩. অনুচ্ছেদঃ যে দয়া করে না, সে দয়া প্রাপ্ত হয় না। হাদীস নং : ৯৪ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ لَا يَرْحَمُ لَا يُرْحَمُ» আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেনঃ যে দয়া করে না সে দয়া প্রাপ্ত হয় না। (তিরমিযী)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস হাদীস নং : ৯৫ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَّامٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، وَأَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَرْحَمُ اللَّهُ مَنْ لَا يَرْحَمُ النَّاسَ» জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে লোক মানুষের প্রতি দয়া করে নাসাঈ, আল্লাহ তার প্রতি দয়ার্দ্র হন না (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস হাদীস নং : ৯৬ وَعَنْ عَبْدَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَا يَرْحَمُ النَّاسَ لَا يَرْحَمُهُ اللَّهُ» জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে নাসাঈ, আল্লাহ তার প্রতি দয়ার্দ্র হন না (পূর্বোক্ত বরাত)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস হাদীস নং : ৯৭ وَعَنْ عَبْدَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاسٌ مِنَ الْأَعْرَابِ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُقَبِّلُونَ الصِّبْيَانَ، فَوَاللَّهِ مَا نُقَبِّلُهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوَ أَمْلِكُ إِنْ كَانَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ نَزَعَ مِنْ قَلْبِكَ الرَّحْمَةَ؟» আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একদল বেদুইন নবী (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলো। তাদের মধ্যকার এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনারা কি শিশুদের চুমা দেন? আল্লাহর শপথ! আমরা তাদেরকে চুমা দেই না। নবী (সাঃ) বলেনঃ মহামহিম আল্লাহ যদি তোমার অন্তর থেকে দয়ামায়া তুলে নেন, তাহলে আমি আর কি করতে পারি (বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)! হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস হাদীস নং : ৯৮ حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ اسْتَعْمَلَ رَجُلًا، فَقَالَ الْعَامِلُ: إِنَّ لِي كَذَا وَكَذَا مِنَ الْوَلَدِ، مَا قَبَّلْتُ وَاحِدًا مِنْهُمْ، فَزَعَمَ عُمَرُ، أَوْ قَالَ عُمَرُ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَا يَرْحَمُ مِنْ عِبَادِهِ إِلَّا أَبَرَّهُمْ আবু উসমান (র) থেকে বর্ণিতঃ উমার (রাঃ) এক ব্যক্তিকে কর্মে নিয়োগ করলেন। সেই কর্মচারী বললো, আমার এতোগুলো সন্তান আছে, আমি তাদের একটিকেও চুমা দেইনি। উমার (রাঃ) মন্তব্য করলেন অথবা বললেন, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে সদাচারীদেরকেই দয়া করেন। হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস ৫৪. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর রহমাত শত ভাগে বিভক্ত। হাদীস নং : ৯৯ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «جَعَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الرَّحْمَةَ مِائَةَ جُزْءٍ، فَأَمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ، وَأَنْزَلَ فِي الْأَرْضِ جُزْءًا وَاحِدًا، فَمِنْ ذَلِكَ الْجُزْءِ يَتَرَاحَمُ الْخَلْقُ، حَتَّى تَرْفَعَ الْفَرَسُ حَافِرَهَا عَنْ وَلَدِهَا، خَشْيَةَ أَنْ تُصِيبَهُ» আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ মহামহিম আল্লাহ দয়াকে শত ভাগে বিভক্ত করেছেন। তিনি (এর) নিরানব্বই ভাগ নিজের কাছে রেখেছেন এবং মাত্র এক ভাগ পৃথিবীতে অবতীর্ণ করেছেন। এই এক ভাগের কারণে সৃষ্টিকুলের একে অপরের প্রতি দয়াপরবশ হয়, এমনকি ঘোড়া তার পায়ের খুর এই আশংকায় তার শাবকের উপর থেকে তুলে নেয় যাতে সে ব্যথা না পায় (বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাজাহ, দারিমী)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস।

স্যোসিয়াল মিডিয়াতে শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর...