।।বহুল আলোচিত রজব আলি হত্যা মামলার আসামি আটক (২)।।
।।দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ নিজস্ব সংবাদদাতা।।
খুলনা জেলার দক্ষিনে সুন্দরবনের কোলঘেষা জনপদ কয়রা থানার একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার সুরাহা করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অত্যন্ত সুকৌশলে সিআইডির চৌকস তদন্তকারী কর্মকর্তা মোল্যা লুৎফর রহমান সল্পতম সময়ে এই মামলাটির তদন্ত কাজ শেষ করেছেন। কয়রা থানার মামলা নং ২৪, তারিখ-২৮/৬/১৯ খ্রীষ্টাব্দ।ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০২/১১৪।
আর এই মামলার মুল আসামী গ্রেফতার হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় হয়রানি মুলকভাবে এই মামলায় জড়িয়ে পড়ারা মুক্তির প্রহর গুনছেন।তাদের পরিবারের লোকেরা দেখছেন আশার আলো। সাধারন মানুষের মধ্যে ফিরেছ স্বস্থির নিশ্বাস। জানাগেছে এটি সাম্প্রতিক সময়ে কয়রা উপজেলার সবচেয়ে আলোচিত হত্যা মামলা। একটি গরুর গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক শত্রুতার জেরে ধরেএই দূর্ঘটনাবশত হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হলেও এই দূর্ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের খেলায় মেতে ওঠে । আর এই কাজে নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগেরই প্রভাবশালী দুটি গ্রুপ। হয়রানী মূলক মামলায় জড়ানো হয় কয়রা উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ও তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য, কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান সহ বেশ কয়েকজন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
কয়েকশত লোকের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যার ঘটনাটি ঘটলেও স্থানীয় পুলিশের উপর চাপসৃ্ষ্টি করে আওয়ামী লীগেরই একটি প্রভাবশালী মহল দলীয় প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নামে একটি হয়রানিমূলক মামলায় রাজি করে। যদিও দূর্ঘটনার পরপরই সরজমিন তদন্ত শেষে থানায় ফিরে মামলা রেকর্ডের আগেই স্বপ্রনোদিত হয়ে ঘটনার সবিস্তার বিবরন তুলে ধরে একটি বিশেষ জিডি রেকর্ড করে। এই মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটিপক্ষ রাজপথে নামে। একপক্ষ আসামীদের গ্রেফতারের দাবী করে আর অপরপক্ষ হয়রানিমুলক এই মামলা প্রত্যাহারের দাবী করে আর এই সুযোগে দেশথেকে পালিয়ে যায় প্রকৃত আসামীরা ।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সাম্ভব্য ঝামেলা এড়াতে পুলিশ এই মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে অর্পন করে। সিআইডি মামলাটি গ্রহন করে তদন্তকারী কর্মকতা প্রাথমিক তদন্তে প্রকৃত ঘটনাটি বুঝতে পেরে মামলার মুল আসামীদের দেশে ফেরাতে উদ্দোগী হন। এবং অত্যন্ত সুকৌশলে অভিনব কায়দায় ফাঁদ পেতে তাদের ভারত থেকে দেশে আসতে উদ্ভুদ্ধ করেন। তার পাতা ফাঁদে পা দেয় এই হত্যা মামলার মুল আসামী দুলু ঢালী ও দুর্লভ ঢালী।
এবং গত ১মার্চ ভারতের সিমান্তবর্তী এলাকা ভোমরা সাতক্ষীরা হতে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোল্লা লুৎফর রহমান সংগীয় অফিসার ফোর্স সহ গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয় সিআইডি। পরেরদিন অর্থাৎ ২মার্চ সেদিনকার প্রকৃত সত্য উল্লেখ করে দূর্ঘটনার দায় স্বীকার করে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন মামলার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হয়েছে এবং মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উর্ধতন কতৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষ তারা চার্জশিটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানাযায়।
☞সৌজন্যেঃ দৈনিক সুন্দরবন
Leave a Reply