⇨সম্পাদনায়ঃ মোড়ল মোঃ ইলিয়াস হুসাইন
কম্পিউটারের সকল অপারেশন উহার ঈচট দ্বারা সম্পন্ন হয়। ক্ষুদ্রতম আকৃতির ডাটা অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ঈচট তে রেজিষ্টার থাকলেও মৌলিক ইন্সট্রাকশন, সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম এবং ডাটা সংরক্ষণের কোন সামর্থ্য ঈচট এর নেই।
রেজিষ্টারে মাত্র কয়েক বাইট ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। রেজিষ্টার ছাড়াও হাজার হাজার বাইট প্রোগ্রাম এবং ডাটা সংরক্ষনের জন্য
কম্পিউটারে একটি অংশের প্রয়োজন হয়, এ অংশকেই মেমোরি বলা হয়।
অর্থাৎ কম্পিউটার উহার যে অংশে প্রোগ্রাম, ডাটা এবং ফলাফল সংরক্ষণ করে তাকে মেমেরি বলা হয়।
কম্পিউটার সিষ্টেমের মেমোরিকে প্রধাণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১। প্রাইমারি মেমোরিএবং
২। সেকেন্ডারী মেমোরি
প্রাইমারি মেমোরি কম্পিউটারের প্রাইমারি মেমেরি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে তৈরী দ্রুতগতি সম্পন্ন মেমোরি। কম্পিউটার অপারেশনের সময় প্রোগ্রাম এবং ডাটা সংরক্ষণের জন্য প্রাইমারি মেমোরি ব্যবহৃত হয়।
প্রাইমারি মেমোরি ভোলাটাইল এবং নন ভোলাটাইল এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। বিদ্যূৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যে সেমিকন্ডাক্টর মেমোরির সংরক্ষিত ডাটা মুছে যায় তাকে ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয়। আর বিদ্যূৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিলেও যে সকল সেমিকন্ডাক্টর মেমোরির সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায়না তাদেরকে নন-ভোলাটাইল মেমোরি বলাহয়। প্রাইমারি মেমোরি বাজারে আইসি আকারে পাওয়া যায় এবং কমিউটারের মাদারবোর্ড নামে পরিচিত প্রাধাণ সাকির্ট বোর্ডে বসানো হয় প্রাইমারি মেমোরিকে আমরা পর পর সজ্জিত কতগুলি কুঠুরিরসাথে তুলনা করতে পারি। প্রতিটি কুঠুরিতে ডাটা লিখে (রাইট) সংরক্ষণকরা যায় আবার কুঠুরি হতে সংরক্ষিত ডাটা উত্তোলন (রিড) করা যায়। কুঠুরীগুলোকে লোকেশন বলা হয়। কোন লোকেশনে ডাটা সংরক্ষণ করতে হবে বা কোন লোকেশন হতে ডাটা রিড করতে হবে তা লোকেশন গুলোর ক্রমিক নম্বর দিয়ে নির্দেশ করা হয়। লোকেশন গুলির এই ক্রমিক নম্বর গুলোকে মেমোরি এ্যাড্রেস বলা হয়।
র্যাম সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে তৈরী রিড/রাইট মেমোরি, অর্থাৎ এ মেমোরিতে সংরক্ষিত ডাটা যেমন রিড করা যায় আবার প্রয়োজনে এ মেমোরিতে ডাটা রাইট করে সংরক্ষণ করা যায়। এ মেমোরির ডাটা মুছে ফেলা যায় আবার নতুন ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। যেকোন সময় র্যামের যেকোন লোকেশনের ডাটা রিড বা যেকোন লোকেশনে ডাটা রাইট করা যায় বলে একে র্যান্ডম এ্যাকসেস মেমোরি সংক্ষেপে র্যাম বলা হয়। এ ছাড়া র্যামের বিদ্যূৎ সরবরাহ বৃদ্ধ হয়ে গেলে সম্পূর্ণ ডাটা মুছে যায় বলে র্যামকে ভোলাটাইল মেমোরিও বলা হয়। যতক্ষণ বিদ্যূৎ সরবরাহ থাকে ততক্ষণ র্যাম ডাটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। র্যাম সাারণত ছোট সার্কিট বোর্ডে চীপ আকারে পাওয়া যায় এদেরকে মেমোরি মড্যূল বলা হয়। ১জিবি, ২জিবি, ৪জিবি, ৮জিবি, ৮জিবি, ১৬জিবি, ৩২জিবি, ৬৪জিবি, ১২৮জিবি ও ২৫৬জিবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন র্যাম মড্যূল কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়েছে। বর্তমানে ৬৪জিবি, ১২৮জিবি ও ২৫৬জিবি মেমোরি মড্যূলক্ষাজারে পাওয়া যায এবং কম্পিউটারে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রম এক ধরণের স্থায়ী সেমিকন্ডাক্টর মেমোরি। এ মেমোরিও আইসি আকারে তৈরী করা হয়। তৈরীর সময় ডাটা বা প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করা হয়। কম্পিউটার সিষ্টেম চালু হওয়ার জন্য অত্যাবশ্যকীয় এবং বার বার প্রয়োজন হয় এমন ধরণের প্রোগ্রাম রমে সংরক্ষণ করা হয়। এ প্রোগ্রামকে বায়োস বলা হয়। কম্পিউটার সিষ্টেমে মাইক্রোপ্রসেসর প্রথমে রমের প্রোগ্রাম সমূহ এক্সিকিউট করে। অতঃপর রমের প্রোগ্রাম অন্যান্য প্রোগ্রাম এক্সিকিউশনের পরিবেশ তৈরী করে। রমে একবার ডাটা সংরক্ষণ করা হলে তা আর পরিবর্তন করা যায়না বলে একে স্থায়ী মেমোরি বলা হয়। আবার বিদ্যূৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলেও এ মেমোরির ডাটা মুছে যায়না বলে একে নন-ভোলাটাইল মেমোরিও বলা হয়। রমে সংরক্ষিত তথ্য শুধু পড়া যায় কিন্তু রমে ব্যবহারকারী কোনো তথ্য লিখতে পারেনা। রম তৈরীর সময় প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান এতে প্রোগ্রাম ভরিয়ে দেয় বলে রমে সংরক্ষিত প্রোগ্রামকে ফার্মওয়্যার বলা হয়।
(চলবে)
Leave a Reply