✒কপি, কাট এবং পেষ্ট করার পদ্ধতি?
মো: ইলিয়াস হোসেন
-
সর্বশেষ আপডেট:
মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০
-
৭৪৩
বার সংবাদ টি দেখা হয়েছে
✒কপি, কাট এবং পেষ্ট করার পদ্ধতি?
⇨সম্পাদনায়ঃ মোড়ল মোঃ ইলিয়াস হুসাইন
আমরা এখন শিখবো কিভাবে একটি ফাইল বা ফোল্ডার কপি করে অন্য কোন ফোল্ডারে রাখা যায়। কিংবা একটি ফাইল বা ফোল্ডারকে অন্য ফোল্ডারে স্থানান্তর করা যায়।প্রথমেই আমরা এ কমান্ডগুলোর শাব্দিক অর্থসহ সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা জেনে নেব। এবং পরবর্তীতে কাজ করার পদ্ধতি বিস্তারিত ভাবে জানবো।
কপিঃ কপি শব্দটির অর্থ হচ্চে কোন কিছুর হুবহু সকল করা। অর্থাৎ কোন ফাইল, ফোল্ডার বা কোন তথ্য কিংবা ছবিকে হুবহু নকল করে অন্য কোথাও স্থানান্তর করা। কম্পিউটারেও সেক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম নয়। কোন ফাইল, ফোল্ডার বা কোন তথ্য কিংবা ছবিকে সিলেক্ট করে এই কমান্ড বা নির্দেশ দিলে কম্পিউটার ওগুলোকে তার অস্থায়ী স্মৃতিভান্ডারে সংরক্ষিত করে, আর এই কাজকে বলা হয় কপি করা।
কাটঃ কাট শব্দের অর্থ কেটে নেওয়া। অর্থাৎ কোন ফাইল, ফোল্ডার বা কোন তথ্য কিংবা ছবিকে কেটে নিয়ে অন্য কোথাও স্থানান্তর করা। কমান্ডটিও কপি কমান্ডের মতোই কোন ফাইল, ফোল্ডার বা কোন তথ্য কিংবা ছবিকে সিলেক্ট করে এই কমান্ড বা নির্দেশ দিলে কম্পিউটার ওগুলোকে কেটে নিয়ে তার অস্থায়ী স্মৃতিভান্ডারে সংরক্ষিত করে, আর এই কাজকে বলা হয় কাট করা।
পেষ্টঃ পেষ্ট শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রতিস্থাপন করা।কম্পিউটারের কোন ফাইল, ফোল্ডার বা কোন তথ্য কিংবা ছবিকে সিলেক্ট করে কাট অথবা কপি কমান্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের অস্থায়ী স্মৃতিভান্ডারে সংরক্ষিত করা থাকলে তা এই কমান্ডের মাধ্যমে সেগুলেকে অন্য কোন ফোল্ডার বা আমাদের নির্দেশিত কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের কোন স্থানে পুণরায় হুবহু স্থাপন করাকেই বলা হয় পেষ্ট করা।
কাট এবং কপি এর কাজের ধরণ একই হলেও এর মধ্যে বেশ পার্থক্য বিদ্যমান। আমরা এখন জানবো কাট এবং কপির মধ্যে ঠিক কি ধরণের পার্থক্য রয়েছে।
(১) কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের কোন নির্দিষ্ট স্থানের কোন সিলেক্ট করা ফাইল, ফোল্ডার, তথ্য বা ছবি কপি কমান্ডের মাধ্যমে কপি করলে তা কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতি ভান্ডারে থাকে আবার অস্থায়ী স্মৃতি ভান্ডারেও জমা হয়। কারণ এটাকে নকল করা বলে। তাই আসলটাতো থাকবেই যেটা স্থায়ী মেমরীতে বা স্মৃতিতে জমা থাকে। আবার নকলটা অস্থায়ী মেমরীতে জমা হচ্ছে।
(২) কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের কোন নির্দিষ্ট স্থানের কোন সিলেক্ট করা ফাইল, ফোল্ডার, তথ্য বা ছবি কাট কমান্ডের মাধ্যমে কেটে নিলে তা কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতি ভান্ডারে থাকেনা কেবল মাত্র অস্থায়ী স্মৃতি ভান্ডারে জমা হয় পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায়।কারণ এটাকে কেটে নেওয়া বলে। তাই আসলটাতো আর থাকবেই না সেটা অস্থায়ী মেমরীতে জমা হবে।
অবশ্য একটি কাজে এ দু’টি কমান্ডের বেশ মিল আছে। দু’টি কমান্ডেই নির্দিষ্ট ফাইল, ফোল্ডার, তথ্য বা ছবি অস্থায়ী মেমরীতে জমা করে রাখে এবং উভয় ক্ষেত্রেই তা পেষ্ট কমান্ডের মাধ্যমে হার্ডডিস্কের অন্য কোন নির্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তর করা হয়। এ কারণেই কম্পিউটারের কোন ফাইল, ফোল্ডার, তথ্য বা ছবি হার্ডডিস্কের এক স্থান থেকে অন্য কোন নির্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তর করার কাজে কাট কমান্ড ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে একটি কথা মনে রাখতে হবে কপি বা কাট করা ডকুমেন্ট সবসময়ই অস্থায়ী স্মৃতিতে জমা হয় কিন্তু বিদ্যুৎ সরবারাহ বন্ধ হয়ে বা অন্য যে কোন কারণে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে তা অস্থায়ী স্মৃতিভান্ডার থেকে মুছে যাবে।অর্থাৎ পুণরায় কম্পিউটার চালু করলে ঐ কপি বা কাট করা ডকুমেন্ট আর পেষ্ট হবে না, তা পুণরায় কাট বা কপি করতে হবে।
কপি এবং পেষ্ট করার পদ্ধতিঃ
কোন ডকুমেন্ট কপি এবং পেষ্ট করার জন্য দু’টি পদ্ধতি অবলম্বন করে করা যায়। এক- মাউস এর সাহায্যে এবং দুই কীবোর্ড এর সাহায্যে।
মাউসের সাহায্যে কাজটি করতে হলে যে ফাইল, ফোল্ডার বা ডকুমেন্ট ‘কপি’ করতে মাউসের বাম বোতাম চেপে তা সিলেক্ট করে নিতে হবে। এরপর সিলেক্ট করা অবস্থায় মাউসের ডান বোতাম চাপলে একটি কমান্ড মেনু বা মেনু কমান্ডের তালিকা প্রদর্শিত হবে। এবার এখান থেকে ‘কপি’ নামের মেনু কমান্ডটি সিলেক্ট করতে হবে।ব্যাস ফাইলটি কপি হয়ে গেল এবং কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমরীতে ফাইলটি আপাতাত: সংরক্ষিত হলো। এবার এই ফাইলটিকে যে স্থানে বা যে ফোল্ডারে রাখতে চাই সেখানে যেতে হবে।অর্থাৎ যে ফোল্ডারে রাখতে চাই সেই ফোল্ডারের উপর মাউসের বাম পাশের বোতাম ডবল ক্লিক করে খুলতে হবে। তারপর খোলা ফোল্ডারের ভিতরে যেয়ে মাউসের ডান পাশের বোতামটি চাপতে হবে। এখানকার মেনু কমান্ডের তালিকা থেকে ‘পেষ্ট’ নামের মেনু কমান্ডটি সিলেক্ট করলে ফাইলটি ঐ ফোল্ডারে বা ঐ স্থানে তা পেষ্ট হবে। এক্ষেত্রে উক্ত ফাইলটি দু’জায়গায় প্রদর্শিত হবে। কারণ ফাইলটি আমরা নকল করেছি বা কপি করেছি।
কীবোর্ড এর সাহায্যে ফাইল, ফোল্ডার বা ডকুমেন্ট কপি ও পেষ্ট করতে হলে মাউসের বাম বোতাম চেপে তা সিলেক্ট করে নিতে হবে। এবার কীবোর্ড থেকে ‘সিটিআরএল কী এবং ইংরেজী বর্ণমালা ‘সি’ লেখা কী একসাথে চাপলে তা কপি হয়ে যাবে। এবার তা যেখানে বা ফোল্ডারে রাখতে হবে সেখানে নিয়ে কীবোর্ড থেকে ‘সিটিআরএল’ কী এবং ইংরেজি বর্ণমালা ‘ভি’ লেখা কী একসাথে চাপলে সেখানে ফাইল পেষ্ট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে উক্ত ফাইলটি দু’জায়গায় প্রদর্শিত হবে। কারণ ফাইলটি আমরা নকল করেছি বা কপি করেছি। অবশ্য এই কমান্ডটি যতবার ব্যবহার করা হবে ততবারই কপি করা ফাইলটি পেষ্ট হতে থাকবে।
কাট এবং পেষ্ট করার পদ্ধতিঃ
মাউসের সাহায্যে কাজটি করতে হলে- যে ফাইল, ফোল্ডার বা ডকুমেন্ট ‘কাট’ করতে মাউসের বাম বোতাম চেপে তা সিলেক্ট করে নিতে হবে। এরপর সিলেক্ট করা অবস্থায় মাউসের ডান বোতাম চাপলে একটি কমান্ড মেনু বা মেনু কমান্ডের তালিকা প্রদর্শিত হবে। এবার এখান থেকে ‘কাট’ নামের মেনু কমান্ডটি সিলেক্ট করতে হবে।ব্যাস সাথে সাথে ফাইলটি কাট হয়ে অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমরীতে ফাইলটি আপাতাত: সংরক্ষিত হবে। এবার এই ফাইলটিকে যে স্থানে বা যে ফোল্ডারে রাখতে চাই সেখানে যেতে হবে। অর্থাৎ যে ফোল্ডারে রাখতে চাই সেই ফোল্ডারের উপর মাউসের বাম পাশের বোতাম ডবল ক্লিক করে খুলতে হবে। তারপর খোলা ফোল্ডারের ভিতরে যেয়ে মাউসের ডান পাশের বোতামটি চাপতে হবে। এখানকার মেনু কমান্ডের তালিকা থেকে ‘পেষ্ট’ নামের মেনু কমান্ডটি সিলেক্ট করলে ফাইলটি ঐ ফোল্ডারে বা ঐ স্থানে তা পেষ্ট হবে।এই কমান্ড যতবার ব্যবহার করা হবে ততবারই ফাইলটি পেষ্ট হতে থাকবে।
কীবোর্ড এর সাহায্যে ফাইল, ফোল্ডার বা ডকুমেন্ট কাট ও পেষ্ট করতে হলে মাউসের বাম বোতাম চেপে তা সিলেক্ট করে নিতে হবে। এবার কীবোর্ড থেকে ‘সিটিআরএল কী এবং ইংরেজী বর্ণমালা ‘এক্স’ লেখা কী একসাথে চাপলে নির্বাচিত ফাইল বা ফোল্ডারটি বা ডকুমেন্টটি কাট হয়ে যাবে এবং পূর্বের অবস্থান থেকে ডকুমেন্টটি হারিয়ে যাবে। এবার ডকুমেন্টটি যেখানে বা ফোল্ডারে রাখতে হবে সেখানে নিয়ে কীবোর্ড থেকে ‘সিটিআরএল’ কী এবং ইংরেজি বর্ণমালা ‘ভি’ লেখা কী একসাথে চাপলে সেখানে ফাইল পেষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্য এবার এই কমান্ডটি যতবার ব্যবহার করা হবে ততবারই কাট করা ফাইলটি পেষ্ট হতে থাকবে।
(চলবে)
স্যোসিয়াল মিডিয়াতে শেয়ার করুন:
আরো খবর...
Leave a Reply