⇨জর্দানে নিপীড়নের শিকার চুনারুঘাটের কিশোরী আক্তার➤ফেরত আনার জন্য গভীর রাতে লুকিয়ে বাবাকে বাথরুম থেকে ইমুতে-ভিডিও কল✆
।।দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগঃচুনারুঘাট(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
জর্দানে গৃহকর্মী হিসেবে যাওয়া হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কিশোরী মোছা. খাদিজা আক্তার (১৬) বাথরুম থেকে ইমুতে ভিডিও কল করে এভাবেই তার বাবাকে তার কষ্টের কথা জানিয়েছে। গত বুধবার গভীর রাতে কথাগুলো বলেই বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে তার আর যোগাযোগ নেই।
এই খবর পাওয়ার পর থেকে দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খাদিজার বাবা। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তার মা। এর মধ্যে দুই মাস আগে আরেক মেয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চলছে কান্না আর আহাজারি। আশপাশের লোকজন এসে সান্ত্বনা দিচ্ছে।
খাদিজা আক্তার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের দিন কাঠুরে মরম আলীর মেয়ে। রেমা কালেঙ্গা বনে লাকড়ি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করাই তাঁর প্রধান পেশা। তাঁর চার মেয়ে ও দুই ছেলে। ছেলে দুটি ছোট। চার মেয়েই বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার অবস্থায় তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তিনি দুই মেয়েকে সৌদি আরব ও জর্দানে পাঠান। সৌদি আরবে যাওয়া বড় মেয়ের নাম সুমি আক্তার (২০)।
খাদিজার পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্র জানায়, *উপজেলার আমুরোড গ্রামের দালাল সুন্দর আলীর ছেলে আলিফ মিয়া ঢাকার পুরানা পল্টনের রিক্রুটিং এজেন্সি ফোর স্টার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ১৭ দিন আগে খাদিজাকে জর্দান পাঠান*। অভাব-অনটনের সংসারে স্ত্রী, চার মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে মরম আলী একটু সচ্ছলতার আশায় দালালদের প্ররোচনায় পড়ে খাদিজাকে জর্দান ও বড় মেয়ে সুমিকে সৌদি আরবে পাঠান। এর মধ্যে খাদিজার সঙ্গে এক দিন কথা হলেও সুমির সঙ্গে ২৭ দিন ধরে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই।
সম্পাদক-দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ
Leave a Reply