।।সাভারে চায়ের দোকানে জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপস “লুডু” জুয়ার আসর★যুবসমাজের অবক্ষয়★প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ।।
।।সাভার থেকে সংবাদদাতা তৌহিদ আহমেদ।।
সাভারের আশেপাশে এলাকাগুলোতে চলছে চায়ের দোকানে হাজারো কিশোর-যুবক মোবাইল অ্যাপস লুডু জুয়ার বাজি, সাভারের বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় স্মার্টফোনের লুডুর অ্যাপস ।
জনপ্রিয় স্মার্টফোন লুডুর অ্যাপস ডাউনলোড করে চায়ের দোকানে বসে প্রতিদিনই তো চলছে জুয়ার বাজি । প্রতিটি চায়ের দোকানে লক্ষ করা যায় দুই জন তিনজন, চারজন পাঁচজন, গোল হয়ে বসে খেলছে লুডু স্মার্টফোন মোবাইলের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা বাজি খেলা চলছে, সাভারের মজিদপুরের চৌরাস্তা এলাকায় আশেপাশের দোকানগুলোতে প্রতিনিয়ত চলছে জুয়া খেলার জমজমাট আসর । সাভারের বিভিন্ন এলাকায় চলছে এই জুয়ার রমরমা ব্যবসা চায়ের দোকানদার চায়ের পাশাপাশি জুয়ার আসর বসিয়ে চালাচ্ছে এই খেলা । প্রতিনিয়ত সকাল থেকে শুরু করে রাত বারোটা একটা পর্যন্ত এই খেলা চলে প্রতিটি চায়ের দোকানে। আমাদের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান আড়াল টিমের পরিচালক বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায় । বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে তারা জুয়া খেলতে এসেছে তাতে আমার লাভ প্রতিজন চা খাচ্ছে সিগারেট খাচ্ছে আর আমার দোকানে বেচা বিক্রি বেড়ে যাচ্ছে । তারা যদিজুয়া না খেলত তাহলে আমার চায়ের দোকান ঠিক মতো চলত না । টিভিতে বিপিএল খেলা হচ্ছে খেলার বাজি বাজিতে হাজার হাজার টাকা দোকানদারের জিম্মায় রাখা হচ্ছে খেলা শেষে টাকা বিতরণ করা হচ্ছে এবং সিগারেট চলছে বিষয়টি নির্দিষ্ট কোন স্থানের প্রয়োজন পড়ে না । শুধু হাতে একটি এন্ড্রয়েড ফোন থাকলেই তাতেই লুডু অ্যাপস ইন্সটল দিয়ে শুরু করা যায় খেলা । এতে ২ থেকে ৬জুন পর্যন্ত একত্রে খেলা যায় । একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে সাভার উপজেলায় জুয়ায় আসক্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি হাই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার যুবকরা । ফলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই শিক্ষার্থীরা সেইসঙ্গে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের পরিবার । এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের অ্যাপস থেকেই জুয়ার প্রতিটি খেলায় ধরা হচ্ছে হাজার হাজার টাকার বাজি । ফলে এসব জুয়ারিদের পরিবারে বাড়ছে বাবা-মা অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতা । কেউ কেউ আবার বই কেনার কথা বলে, কেউ কেউ পরীক্ষার্থীর কথা বলে, কেউ বই কেনার কথা বলে, কেউ চাকরিতে আবেদন করার বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাতে দিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এই জুয়া খেলছে । উপজেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে যেখানে দুই বা ততোধিক কিশোর যুবক বা পাশাপাশি বসে মোবাইল গেম খেলছে প্রকৃতপক্ষে সেখানেই দেখা যায় মোবাইল অ্যাপসের জুয়ার আসর বসেছে । আর খেলাটি মোবাইলে খেলার কারণে বোঝার উপায় থাকেনা । যে সেখানে আসলে কি চলছে । কিন্তু এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সচেতনমূলক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা । জাতীয় দলের কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিভাবক সচেতন কয়েকজন বলে । এই মোবাইলের অ্যাপস দিয়ে জুয়ার কারণে যেমন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেকের ছাত্র জীবন তেমনি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্ম । অনেক যুবককে দেখা যাচ্ছে নিজের দোকানে বসে ব্যবসা বাদ দিয়ে বন্ধুদের ডেকে মোবাইলে বাজি ধরে লুডু খেলছে । এটা কখনো কাম্য নয় । মোবাইলে এসব খেলা কারা বের করেছে । এসব খেলা যারা তৈরি করে মোবাইল চার্জে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি । সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এসব খেলার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা । আসলে মোবাইলে খেলা হওয়ার কারণে কোন প্রমাণ থাকে না । আরে জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসাতে হবে । রান্না সিটি করপোরেশন এলাকায় তালিকা তৈরি হয়েছে স্বার্থপর হতে পারে এটি একটি সামাজিক ব্যাধি হতে পারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে । নইলে এর ভয়াবহতা অনেকদূর যাবে পুলিশিং এর মাধ্যমে আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে কাজ করছি এর মধ্যে অনেক জুয়াড়ি গ্রেফতার করা হয়েছে এসব স্মার্টফোনের লুডু অ্যাপস ব্যবহার করে জুয়ার আসর করবে সেখানে তাদের পাকড়াও করা হবে বলে জানিয়েছেন । জুয়ার আসর বসলেই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা । কয়েকদিন আগে মজিদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান একটি স্কুল সহ বেশ কয়েকবার এই চুরির ঘটনা ঘটে মজিদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লুডু খেলায় জুয়ার বাজি সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করছে কিছুসংখ্যক চিহ্নিত যুবক । যারা সব সময় চায়ের দোকানে বসে জুয়ার বাজি ধরে চলছেন এদের জন্য চায়ের দোকানে ঢুকে সাধারণ মানুষেরা এক কাপ চা খেতে পারেন না। শুধু জুয়াই নয় বাড়ছে মাদক বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে আশা করছি ।
Leave a Reply