।।২০ কোটি টাকার ফুল বেচলেন যশোরের ব্যবসায়ীরা
ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উত্সব।।
☞লিখেছেনঃ আহমেদ সাঈদ বুলবুল
ফুলের ‘রাজধানী’ গদখালীর ফুল দিয়ে দেশ জুড়ে আজ একযোগে পালন করা হবে বসন্তবরণ আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রিয়জনের হাতে লাল গোলাপের গোছা তুলে দিতে গিয়ে আজ পকেটে টান পড়বে অনেকেরই। নারীদের খোপায় জারবেরা গুঁজে সাজতে গেলেও গুণতে হবে বেশ দাম। ফুলচাষিরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব আর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বৃষ্টিপাতে ফুলের উত্পাদনে এবার ধস নেমেছে। গোলাপ খেতে ভাইরাসও উত্পাদনকে ব্যাহত করেছে। ভাইরাসের আক্রমণে গোলাপের কুঁড়ি নষ্ট হওয়ায় চাহিদার তুলনায় গোলাপের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামের পারদ এবার ঊর্ধ্বমুখী। তার পরেও বিপুল টাকার ফুল বাজারে পাঠিয়েছেন এখানকার ফুলচাষিরা।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, এ বছর ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ একই দিনে পড়েছে। দুইটি দিবস ঘিরে যশোর অঞ্চলের চাষিরা প্রায় ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছে। এরমধ্যে গোলাপ রেকর্ড পরিমাণ দামে বিক্রি হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে কৃষকরা কখনো গোলাপ বিক্রি করতে পারেনি। গ্লাডিওলাস, জারবেরা ও রজনীগন্ধা ফুলের দামও চড়া। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাইয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দামে পুষিয়ে নিয়েছে কৃষকরা।
দেশে ফুলের মোট চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশই যশোরের গদখালী থেকে সরবরাহ করা হয়। গত চার দিনে ঝিকরগাছার এই অঞ্চলটিতে জমজমাট ফুল বেচাকেনা হয়েছে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্তবরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখেই ফুলের চাহিদা বেড়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার কাকডাকা ভোরেই যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গদখালী বাজার ফুলে ফুলে ভরে যায়। পানিসারা, নবীনগর, হাড়িয়া, পটুয়াপাড়া, টাওরা, শরীফপুর এলাকার চাষিরা ফুলের পসরা নিয়ে বসেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ভিড় জমান। ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে জমজমাট হয় ফুলের হাট। প্রতিটি গোলাপ ১৫-২০ টাকা, রজনীগন্ধা দুই-তিন টাকা, গ্লাডিওলাস তিন থেকে আট টাকা, জারবেরা পাঁচ থেকে ১০ টাকা, চন্দ মল্লিকা দুই থেকে তিন টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও গাঁদা ফুল প্রতি হাজার ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, জিপসি ও রডস্টিক মানভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা আঁটি বিক্রি হয়েছে।
Leave a Reply