।।সেনাবাহিনীর মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীঃ
সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চাই।।
।।দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত করে দেশকে আরো এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তাঁর সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার উপকূলীয় দ্বীপ স্বর্ণদ্বীপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন অনুশীলন-প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ অনুশীলন (মহড়া) ‘অপারেশন বিজয় গৌরব’ প্রত্যক্ষ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন আয়োজিত এই প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ স্বাগত বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, নিরাপদে থাকুক, উন্নত জীবন পাক, সেই লক্ষ্যই আমরা বাস্তবায়ন করছি।’
স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার গুরুদায়িত্ব সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী যেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে পারে এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে সেভাবেই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, যার শুভফল ইতিমধ্যেই সবাই পাচ্ছেন।’
শেখ হাসিনা জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘বহু দেশে শান্তি স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশপাশি সামাজিক কাজেও যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী ভূমিকা রাখছে।’
দেশের অনেক উন্নয়নকাজে সম্পৃক্ত হয়ে সেনা সদস্যরা ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক উন্নয়নের কাজ তাঁদের দিয়ে আমরা করাতে পারছি এবং তাঁরা করে যাচ্ছেন। এভাবে দেশের একদিকে যেমন স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অনেক অবদান রেখে যাচ্ছেন আমাদের সেনা সদস্যরা।’ তিনি সব সেনা সদস্যকে এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘অন্য কোনো দেশের সৈনিকরা ততটা মানবিকতা দেখায় না, যতটা আমরা বাঙালিরা দেখাতে পারি। কাজেই সেই দিক থেকে আমি মনে করি, প্রশিক্ষণ এবং সমরাস্ত্রের দিক থেকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত আমাদের সশস্ত্র বাহিনী হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা যথেষ্ট কাজ করেছি এবং উদ্যোগ নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ না করে বলেন, ‘শুধু এটুকুই বলব আমাদের সীমিত সম্পদ দ্বারা যতটুকু সম্ভব তা আমরা করে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ রেজিমেন্টসহ তিনটি পদাতিক বাহিনী আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণাঞ্চল একসময় অবহেলিত ছিল। সেখানে কোনো সেনানিবাস ছিল না। সেখানেও আমরা সেনানিবাস করে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেন তার আলোকে তাঁর সরকার ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশন এই শীতকালীন প্রশিক্ষণ অনুশীলনের আয়োজন করে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মহড়ায় অংশ নেন।
Leave a Reply