1. eliusmorol@gmail.com : দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ : দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ
  2. rahadbd300@gmail.com : rahad :
বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন

।।শরিয়ত বয়াতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীঃনিশ্চয়ই অপরাধে সম্পৃক্ত বলে গ্রেফতার করা হয়েছে।।

মো: ইলিয়াস হোসেন
  • সর্বশেষ আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২০
  • ২২৪ বার সংবাদ টি দেখা হয়েছে

।।শরিয়ত বয়াতি প্রসঙ্গে সংসদে প্রধানমন্ত্রীঃ
নিশ্চয়ই অপরাধে সম্পৃক্ত বলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।।

।।দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।

আইসিটি আইনে শরিয়ত বয়াতিকে গ্রেপ্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের’ সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাউলগানের তো কোনো দোষ নেই। কিন্তু বাউলগান যাঁরা করেন, বা ব্যক্তিবিশেষ, তিনি যদি কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত হন, তাহলে আইন তার আপন গতিতে চলবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটার সঙ্গে গানের সম্পৃক্ততা নেই।’

সংসদে বাউলগান ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সম্প্রতি আইসিটি আইনের মামলায় টাঙ্গাইলের বাউল শরিয়ত বয়াতির গ্রেপ্তার হওয়ার কথা তুলে ধরেন। ইনু বলেন, ‘আইসিটি আইনে শরিয়ত বাউলকে গ্রেপ্তার ও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বাউলশিল্পীদের চুল কেটে দেওয়া হচ্ছে। গ্রাম থেকে তাড়িয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক শাসকরা যে জবরদখলের রাজনীতি শুরু করেছিল, তখন যাত্রা, পালাগানসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর একটি আক্রমণাত্মক তৎপরতা পরিচালনা করেছিল। তার রেশ এখনো চলছে।’ প্রধানমন্ত্রী ও সরকার বিশ্ব ঐতিহ্যের বাউল সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবেন কি না, সে প্রশ্ন করেন জাসদ সভাপতি।
এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা উদ্যোগ নিয়ে বাউলগানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। তবে বাউলগানের তো কোনো দোষ নেই। কিন্তু বাউলগান যাঁরা করেন তাঁদের ব্যক্তিবিশেষ কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত হলে আইন তার আপন গতিতে চলবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর সাথে গানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ তিনি বলেন, ‘আর যাঁরা বাউলগান গাচ্ছেন তাঁরা সবাই অপরাধের ঊর্ধ্বে—এই গ্যারান্টি কি কেউ দিতে পারবেন? বাউলশিল্পীরা কোনো অপরাধ করেন না বা করেননি—এটা তো ঠিক না। কে কী করছেন, ব্যক্তিবিশেষে সেটা…যেহেতু গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত বলে বা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই এই বিষয়টার সাথে আমার মনে হয় বাউল ঐতিহ্যের…আমি বলব, এঁরা (বাউলরা) এমন কোনো কাজ যেন না করেন, যার জন্য আজকে যে বাউলগান বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান করে নিয়েছে, তা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সেই ধরনের কাজ যেন তাঁরা না করেন। সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকা দরকার এবং তাঁদেরও সচেতন করা দরকার।’

ইনুর প্রশ্নের সূত্র ধরে সামরিক শাসন আমলের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় ছিল সেখানে গণতান্ত্রিক ধারা ছিল না। সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছে। একের পর এক ক্যু হয়েছে। মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতায় এসেই রেডিও-টেলিভিশনে ঘোষণা দেয়, আজকে থেকে আমি রাষ্ট্রপতি হলাম। আর হয়েই তাদের কাজ ছিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা। সুইপারের কাজটা তারা আগেই করে। এটা আমরা সব সময় দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে দেখা যায়, রাস্তার পাশে কচুঘেচু যা থাকে কেটেকুটে সাফ করে। দেয়াল মুছে পরিষ্কার করা। আবার কেউ সাইকেল চালিয়ে সাশ্রয় করে। সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর সবচেয়ে দামি গাড়ি নিয়ে চলে আসছে। কেউ বলছে, কৃচ্ছ্রতা সাধন করছি বলে টি-শার্ট পরে লেগে গেলেন। কিন্তু দেখা গেল, প্যারিস থেকে স্যুট আসে। ফ্রেঞ্চ শিফন শাড়ি আছে। তখনকার যুগের দামি এবং ব্র্যান্ড সানগ্লাস রে-বেন পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘এ রকম বহু নাটক মিলিটারি ডিক্টেটররা করে থাকে। কাজেই চুল কাটা শুধু নয়, এ ছাড়া অনেক কাজই তারা করেছে। এ রকম বহু কিছু আমরা জীবদ্দশায় দেখেছি। অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর যে কাজটা করলে ক্ষমতা একটু পোক্ত করা যায় বা নিজেদের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করা যেতে পারে, তা করতে চায়। তবে তাদের এসব উদ্যোগ বেশিদিন টেকে না। মাস ছয়েক থাকে, তার পরই চেহারা পাল্টে যায়। আর এখনো যদি কেউ কিছু করে থাকে, অন্যায় অপরাধ করলে আমরা তা দেখব। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। অহেতুক কারো চুল কাটা বা গানের প্রতিবন্ধকতা করা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’

স্যোসিয়াল মিডিয়াতে শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর...