।।বেনাপোল কাস্টম হাউস থেকে ১৭ কেজি সোনা চুরিঃ৩মাস অতিবাহিত হলেও উদ্ধার হয়নি সোনা, আটক হয়নি চোরচক্র।।
।।দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগঃবেনাপোল থেকে মোঃ সম্রাট হোসনে।।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভোল্ট ভেংগে ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১৭ কেজি সোনা চুরি যাওয়ার ঘটনা ৩ মাস অতিবাহিত হতে চললেও উদ্ধার হয়নি সোনা, সনাক্ত হয়নি চোর চক্রটি। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে। বেনাপোল কাস্টমসের সোনা চুরি ঘটনায় দুই দফায় বেনাপোল কাস্টমসের ১১ জন এনজিও কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আটক করে যশোর সিআইডি পুলিশ। প্রথম দফায় ৭ জন আটক করে দিত্বীয় দফা গত সোমবার আবারো ৪জন এনজিও কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আটক করে যশোর নিয়ে যায় সিআইডি পুলিশ। পরের দিন মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আবার ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে এর আগে আজিবর নামে এক এনজিওকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেল হাজাতে প্রেরন করেছে।
আটককৃত বেনাপোল কাস্টমস এর বিভিণœ দফতরে এনজিও কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদেরকে লুট হওয়া সোনার বিষয়ে সিআইডি দফতরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।
কাস্টমস সুত্র জানায়, গত ০৮ নভেম¦র পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, সরকারী ছুটি এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুল চলাকালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের মূল্যবান শুল্ক গুদামের নিরাপদ ভোল্ট ভেংগে ১৭ কেজি সোনা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃওরা কিন্তু দীর্ঘ দিনেও লুট হওয়া সোনা উদ্ধোরে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় গোটা কাস্টমস বিভাগে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এর আগে কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (চ:দা) মো: এমদাদুল হক বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় গত ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ কাস্টমস, পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও র্যাবের ইনভেন্ট্রি অনুযায়ী শুল্ক গুদাম থেকে ১৭ কেজি সোনা, ১৯ হাজার ২৩০ ভারতীয় রুপী এবং ৩৭ হাজার বাংলাদেশি টাকা লুট হয়। চুরির ঘটনা জানার পরপরই কমিশনার ভোল্টের গোডাউনের দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব শাহিবুল সর্দারকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ, পিবিআই, গোয়েন্দা, ডিবি, সিআইডি, এনএসআইসহ সকল সংস্থাকে তাৎক্ষণিক সম্পৃক্ত করা হয়। শেষ পর্যন্ত সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয় সোনা উদ্ধারে।
যুগ্ম কমিশনারের শহীদুল ইসলামের নের্তৃত্বে ০৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাস্টম হাউস ও চেকপোস্টের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মূল্যবান গুদাম পাহারার জন্য পৃথক সিপাই ও আনসার পদস্থ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, চুরি যাওয়া স্বর্ণের বেশির ভাগই ২০১৭ ও ২০১৮ সালে শুল্ক গুদামে জমা হয়। উক্ত সময়ে ৭ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মূল্যবান গোডাউনের দায়িত্বে ছিলেন।
যশোর জেলা পুলিশের সিআইডি ওসি জাকির হোসেন জানান, কাস্টমসে লুট হওয়া সোনা উদ্ধারে এ বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিঞাসাবাদ করা হচেছ। তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে, এখুনি কিছু বলা যাবে না।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ন কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানান, সোনা চুরির ঘটনায় সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে। তারা এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। তবে তদন্তে দীর্ঘ সুত্রিতার কারনে কাস্টমস এর ভাবমূর্তি নষ্ট হচেছ।
Leave a Reply