।।বেনাপোলের প্রশংসিত নারী উদ্যোক্তা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সেতু।।
।।দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।
বেনাপোল থেকে রানা হোসেনঃ
বিশিষ্ট সমাজসেবক, ব্যবসায়ী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আলহাজ্ব মশিউর রহমান। বাবার আদর্শ আর নীতিকে ধারন করে দেশ জুড়ে নারী উদ্যোগতা হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন তারই একমাত্র সুযোগ্য কন্যা সাহিদা রহমান সেতু ।
সেতু তার নিজ উদ্যোগে দেশের একমাত্র বৃহওর স্থলবন্দর বেনাপোলে গড়ে তুলেছেন মেগা স্ট্রাকচার। সেতু কফি হাব দিয়েই শুরু হয় তার ব্যবসার বিস্তার। বেনাপোল সিটির একমাত্র শোভা বর্ধন করেছে ৮ তলা বিশিস্ট সেতুর মালিকাধীন রহমান চেম্বার।
রহমান চেম্বারটি এখন বেনাপোলের মেগা সিটির ওয়ার্ল্ড ক্লাস বিজনেস সেন্টার হিসেবে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে।
খ্যাতিমান স্থপতি তানজিম হাসান সেলিম এর নকশায় বন্দর নগরী বেনাপোলের অহংকার স্থাপনাটি ঐতিহ্য বহন করছে। এ ভবন ভারতে আসা যাওয়ার সময় দেশী বিদেশী পর্যটকদের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয় বাংলাদেশকে।
সেতু ৩৭ শতক পারিবারিক জমির ওপর গড়ে তুলেছেন বিংশ শতকের কমপ্যাটিবল স্ট্রাকচার। ২০০ টি শো-রুম, ২ টি ব্যাংক হাউজ, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, আধুনিক আবাসিক হোটেল ও চাইনিজ রেস্ট্রুরেন্ট, কফি হাউস সব থাকছে এক স্ট্রাকচারের মধ্যেই।
গ্রাউন্ড এবং ফার্স্ট ফোরে আছে অত্যাধুনিক সব ব্র্যান্ড আউটলেটস, ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল প্রোডাক্টস।
২ তলা এবং ৩য় তলায় রয়েছে ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, জিম এবং বিলিয়ার্ড জোন। ৪ তলা পুরোটাই অফিস স্পেস। ৯০০০ স্কয়ারফিট। ৫ তলায় বেনাপোল ইম্পেরিয়াল সুইট, ৩৭টি স্টেট অব আর্ট সুইট।
ভারত থেকে আসা কিংবা ভারতে যাবার আগে যেকোনো পর্যটক পরিবার নিয়ে ২-৪ দিনের বিশ্রাম নিতে পারেন বন্দর নগরী বেনাপোলের এই স্থানে।
যদি প্রতিদিন জিমে যাবার অভ্যাস কারো থাকে তাহলে আপনি জিম মিস করবেন না। কারণ, বেনাপোল জিমনেসিটি, হাজার স্কয়ার ফিটে তৈরী বেনাপোলে। ২০১৯ এর ১জুলাই উদ্বোধন হওয়া সেতু’স কফি হাউস। আপনার পছন্দের ফেভারের কফি ছোট ইটালিয়ান টাইপ কোজি একটা গ্রিন জোনে।
নিজ স্থানে কিছু একটা করা, এমন কিছু যা গতানুগতিক নয়। এমন কিছু যা আগামী প্রজন্মকে জানান দিতে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে এই কমপ্লেক্সটি ।
সাহিদা রহমান সেতু জানান, স্বামী, ৪ ছেলেমেয়েকে নিয়ে আমার সংসার। নতুন প্রজন্মের সন্তানদের জন্য আমার এই উদ্যোগ, আমি আমার বাবা-মার স্বপ্ন’র প্রসার ঘটাতে, এলাকার মানুষের চিন্তা চেতনাকে সময়ের সাথে আগামীর পথে এগিয়ে নিতে কাজ করে যেতে চাই।
সেতু ইংরেজি সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। কবিতা লেখা প্রকৃতির সাথে কথা বলতে সূর্যাস্তকে ভীষণ ভাবে উপভোগ করনে তিনি। প্রকৃতির সুখ দু:খের সাথি হয়ে বেচে থাকাটাই তার চ্যালেঞ্জ।
২০২০ এ গ্র্যান্ড ওপেনিং এ সেতু উপহার দিতে চাচ্ছেন বিশ্বমানে টপ ফোরে দ্যা সান রুফ, বারবিকিউ এন্ড পার্টি লাউঞ্জ। ৫০০ লোকের আসন ব্যবস্থা ও খাওয়া দাওয়ায় রয়েছে পছন্দের সব রকমারী উন্নত খাদ্য। সেতু একজন নারী হিসেবে আগামীর চিন্তা, চেতনা ও উদ্যোগ ইতিমধ্যে চ্যানেল আই , মাছরাংগা টিভি, চ্যানেল ২৪ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে।
Leave a Reply