।।বিজয় দিবসে প্রদর্শনী ম্যাচে রফিকের তুমুল ঝড়।।
স্পোর্টস রিপোর্টারঃদিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ
গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের প্রদর্শনী ম্যাচ শেষে একফ্রেমে শহিদ জুয়েল ও শহিদ মুস্তাক একাদশের হয়ে খেলা সাবেক ক্রিকেটাররা —দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশেষ করে টেস্টে বাংলাদেশের সফল ব্যাটসম্যানদের একজন হাবিবুল বাশার সুমন। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাট-প্যাড নিয়ে অপেক্ষায় থেকেও ব্যাটিংই পেলেন না সাবেক এই অধিনায়ক। ব্যাটিং না পাওয়ার দলে আছেন আকরাম খানও। তবে ব্যাটিং না পাওয়ায় আক্ষেপ নেই হাবিবুল-আকরামদের মাঝে। বরং ডাগআউটে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের ব্যাটিং উপভোগ করেছেন তারা। খুনশুটি, টিকা-টিপ্পনি তো হয়েছেই।
প্রতি বছরই বিজয় দিবসে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলায় পরিণত হয় মিরপুর স্টেডিয়াম। পরিবার সমেত মাঠে আসেন সাবেক ক্রিকেটাররা। ২২ গজের অতীত রোমাঞ্চে মেতে উঠেন। মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হওয়া সংগঠক মুস্তাক ও ক্রিকেটার আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেন ক্রিকেটাররা। গতকাল টি-২০ ম্যাচের এই লড়াইয়ে শহিদ মুস্তাক একাদশ ৭ উইকেটে পরাজিত করেছে শহিদ জুয়েল একাদশকে।
হাবিবুলরা ব্যাটিং না করলেও গতকাল বিজয় দিবসের প্রদর্শনী ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রানের পুঁজি গড়েছিল শহিদ জুয়েল একাদশ। মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বাধীন দলটা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হারিয়েছিল নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের (৫) উইকেট। তারপর শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত্ ও এহসানুল হক সেজানের ব্যাটে এগিয়েছে শহিদ জুয়েল একাদশের ইনিংস। শেষ দিকে সজল চৌধুরীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের সংগ্রহ দেড়শ পার হয়। শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত্ ৩২, এহসানুল হক সেজান ৫২, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ১৬ রান করেন। ২৯ বলে ৪৬ রানের (৪ চার, ৩ ছয়) ইনিংস খেলেন সজল চৌধুরী। খালেদ মাহমুদ সুজন অপরাজিত ছিলেন ৩ রানে। শহিদ মুস্তাক একাদশের পক্ষে শফিউদ্দিন বাবু নেন ২টি উইকেট।
শহিদ জুয়েল একাদশের স্কোরটা অনায়সে পাড়ি দিয়েছে শহিদ মুস্তাক একাদশ। সেটা মোহাম্মদ রফিকের মারকুটে ব্যাটিংয়ে। ১৮.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় শহিদ মুস্তাক একাদশ। রফিক চিরচেনা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। ৩৯ বলে ৮১ রান (৮ চার, ৫ ছয়) করেন তিনি। মেহরাব হোসেন অপি ৪৮, হারুনুর রশিদ লিটন ১২, জাভেদ ওমর বেলিম ৬, জাহাঙ্গীর আলম অপরাজিত ২ রান করেন।
ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন মোহাম্মদ রফিক। ম্যাচ শেষে বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন যেমন রসিকতার ছলে রফিককে বলছিলেন, আবার অনুশীলন শুরু কর। টি-২০ এখনও খেলতে পারবি। ফিটনেসও খারাপ নয়।
শহিদ জুয়েলের বড়ো বোন সুরাইয়া খানম ও ছোটো বোন সালমা চৌধুরী উপস্থিত থেকে ম্যাচ উপভোগ করেছেন। এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেছেন।
Leave a Reply