1. eliusmorol@gmail.com : দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ : দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ
  2. rahadbd300@gmail.com : rahad :
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন

।।বনানীর বস্তিতে আগুন🔥২০০ ঘরে পুড়ে ছাইঃ ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নীচে।।

☞সার্বিক সম্পাদনায়ঃ মোড়ল মোঃ ইলিয়াস হুসাইন
  • আপডেট সময়ঃ রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৪৮৮ বার সংবাদটি দেখা হয়েছে।
✪বনানীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি বস্তিতে আগুন লেগে দুই শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে পুড়ে যাওয়া ঘরের সামনে আছেন অসহায় সাহেদা✪ছবি তুলেছেনঃআব্দুল গনি✪

।।বনানীর বস্তিতে আগুন🔥২০০ ঘর পুড়ে ছাইঃ ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নীচে।।

।।দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।

রাজধানীর বনানীর টিঅ্যান্ডটি মাঠ সংলগ্ন বেদেরঘাট বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আগুনে পুড়ে গেছে দুই শতাধিক ঘর। গত শনিবার ভোরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘরবাড়ি হারানো এসব মানুষের ঠাঁই হয়েছে বস্তির পাশে থাকা মাঠে খোলা আকাশের নিচে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত তারা শুকনা খাবার পেলেও পরে কারো কোনো সহযোগিতা পাননি বলে জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন বলেন, রাত ৩টা ২৮ মিনিটে টিএন্ডটি বস্তির একটি ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই সময়ের মধ্যে বস্তির প্রায় ২০০ ঘর পুড়ে যায়। আগুনের কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিস একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীরা জানিয়েছেন যে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনেকের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বেশির ভাগ বস্তিবাসীই কোনো কিছু নিতেও পারেননি। জুলহাস (৪২) নামে এক বস্তিবাসী বলেন, আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে নেভানোর কাজ শুরু করে। অনেকের চোখের সামনেই ঘরদোর পুড়ে ছাই হয়েছে

বস্তিতে সাত বছর ধরে থাকতেন প্রাইভেটকার চালক কবির হোসেন। তিনি বলেন, আগুনে তার ঘরের সব জিনিস পুড়ে গেছে। পুড়ে গেছে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার টিভি-ফ্রিজ, খাট-আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ফুটপাতে শরবত বিক্রেতা সুজন নামের ক্ষতিগ্রস্থ বস্তিবাসী বলেন, যে ভ্যানগাড়িতে করে শরবত বিক্রি করতাম, সেটা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরের সব জিনিস চোখের সামনে পুড়ে গেলো। এখন বাঁচার উপায় নেই।

বস্তিবাসীর অভিযোগ, আগুন লেগেছিল মূলত বস্তির গোডাউন থেকে। সেখান থেকে বাতাসের কারণে তা দ্রুত ছড়িয়েছে। তাদের দাবি, আগুনে পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়েছে।

এদিকে বস্তিবাসীর ঠাঁই হয়েছে টিঅ্যান্ডটি কলোনির মাঠে খোলা আকাশের নিচে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর থাকা-খাওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকার নবনির্বাচিত কাউন্সিলর নাছির জানিয়েছেন, এখানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। আপাতত তাদের খাওয়ার জন্য খিচুরি শুকনো খাবার সরবরাহ ও স্থানীয় স্কুল এবং কলোনির মাঠে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তি পরির্দশনে গিয়েছিলেন উত্তরের বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

☞সংবাদ টি শোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুনঃ⬇️

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

☞এ জাতীয় আরও সংবাদঃ