অনুদানের ছবি প্রেক্ষাগৃহে দেখাতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
।। দিঘলিয়া ওয়েব ব্লগ বিনোদন রিপোর্ট।।
ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯ ৮ঃ০০
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (পুরনো ছবি)
সরকারি অনুদানের ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়াটা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়াও বাড়ানো হচ্ছে অনুদানের পরিমাণ।
আজ (৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেন তিনি।
এদিন ২০১৭ ও ২০১৮ সালের সিনেমার জন্য পুরস্কার প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চলচ্চিত্রের অনুদান বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া এ ছবিগুলো হলে যেন মুক্তি দেওয়া হয়, সে নির্দেশনাও দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
তিনি আরও জানান, বিএফডিসির জন্য ৩৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিল্পী কল্যাণ ফান্ড গঠন করা হচ্ছে, যা এখন প্রক্রিয়াধীন।এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন। ২০১৭ সালের আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা আর ২০১৮ সালের জন্য পেলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র ও এমএ আলমগীর।
এবার গত দুই বছরের ২৮টি শাখায় ৬১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। দুই বছরের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘ঢাকা অ্যাটাক’ (২০১৭) ও ‘পুত্র’ (২০১৮)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা যৌথভাবে শাকিব খান-সত্তা (২০১৭) ও আরিফিন শুভ-ঢাকা অ্যাটাক (২০১৭)। অন্য বছরের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ফেরদৌস-পুত্র (২০১৮) ও সাইমন-জান্নাত (২০১৮)।
২০১৭ সালের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা (হালদা) ও ২০১৮ সালের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন জয়া আহসান (দেবী)।২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা
আজীবন সম্মাননা: এটিএম শামসুজ্জামান ও সালমা বেগম সুজাতা
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: ঢাকা অ্যাটাক (কায়সার আহমেদ ও সানী সানোয়ার)
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: বিশ্ব আঙিনায় অমর একুশে (বাংলাদেশ টেলিভিশন)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: বদরুল আনাম সৌদ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র: শাকিব খান (সত্তা) ও আরিফিন শুভ (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র: নুসরাত ইমরোজ তিশা (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব-চরিত্র: মো. শাহাদাৎ হোসেন (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব-চরিত্র: সুবর্ণা মুস্তাফা (গহীন বালুচর) ও রুনা খান (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল-চরিত্র: জাহিদ হাসান (হালদা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্র: এম ফজলুর রহমান বাবু (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: নাইমুর রহমান আপন (ছিটকিনি)
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: অনন্য সামায়েল (আঁখি ও তার বন্ধুরা)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: এম ফরিদ আহমেদ হাজরা (তুমি রবে নীরবে)
শ্রেষ্ঠ নৃত্যপরিচালক: ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, (ধ্যাততেরিকি)
শ্রেষ্ঠ গায়ক: মাহফুজ আনাম জেমস (তোর প্রেমেতে অন্ধ, চলচ্চিত্র: সত্তা)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা: মমতাজ বেগম (গান: না জানি কোন অপরাধে, চলচ্চিত্র: সত্তা)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার: সেজুল হোসেন (গান: না জানি কোন অপরাধে, চলচ্চিত্র: সত্তা)
শ্রেষ্ঠ সুরকার: শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা (গান: না জানি কোন অপরাধে, চলচ্চিত্র: সত্তা)
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: আজাদ বুলবুল (হালদা)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: তৌকীর আহমেদ (হালদা)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: বদরুল আনাম সৌদ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: উত্তম কুমার গুহ (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: কমল চন্দ্র দাস (গহীন বালুচর)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ (ঢাকা অ্যাটাক)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা: রিটা হোসেন (তুমি রবে নীরবে)
শ্রেষ্ঠ মেকআপ আর্টিস্ট: মো. জাভেদ মিয়া (ঢাকা অ্যাটাক)২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা
আজীবন সম্মাননা: অভিনেতা প্রবীর মিত্র ও এমএ আলমগীর
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: পুত্র (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর)
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: গল্প সংক্ষেপ (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট)
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: মোস্তাফিজুর রহমান মানিক
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র: ফেরদৌস আহমেদ (পুত্র) ও সাদিক মো. সাইমন (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র: জয়া আহসান (দেবী)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব-চরিত্র: আলীরাজ (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব-চরিত্র: সুচরিতা (মেঘকন্যা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্র: সাদেক বাচ্চু (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্র: মোশাররফ করিম (কমলা রকেট) ও আফজাল শরিফ (পবিত্র ভালোবাসা)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: ফাহিম মুহতাসিম লাজিম (পুত্র)
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: মাহমুদুর রহমান (মাটির প্রজার দেশে)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: ইমন সাহা (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ নৃত্যপরিচালক: মাসুম বাবুল (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ গায়ক: নাইমুল ইসলাম রাতুল (গান: যদি দুঃখ ছুঁয়ে, চলচ্চিত্র: পুত্র)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা: সাবিনা ইয়াসমিন (গান: ভুলে মান অভিমান, চলচ্চিত্র: পুত্র) ও আঁখি আলমগীর (গান: গল্প কথার ঐ, চলচ্চিত্র: একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার: কবির বকুল (গান: যদি এভাবেই ভালোবাসা, চলচ্চিত্র: নায়ক) ও জুলফিকার রাসেল (গান: যদি দুঃখ ছুঁয়ে দেখো, চলচ্চিত্র: পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সুরকার: রুনা লায়লা (গান: গল্প কথার ঐ, চলচ্চিত্র: একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: সুদীপ্ত সাঈদ খান (জান্নাত)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: সাইফুল ইসলাম মান্নু (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: এস. এম. হারুন-অর-রশীদ (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: তারিক হোসেন বিদ্যুৎ (পুত্র)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: উত্তম কুমার গুহ (একটি সিনেমার গল্প)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: জেড এইচ মিন্টু (পোস্টমাস্টার ৭১)।
Leave a Reply